শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) এর অবর্তমানে তাঁর উম্মাতদের উপর আল্লাহ্ তায়ালা দাওয়াতের যে গুরু দায়িত্ব অর্পন করেছেন সে দায়িত্ব পালনে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে বিগত বৎসরে নি¤œ বর্ণিত কার্যক্রম ছিল।

গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে সারা বৎসরই প্রতিদিন ‘পাঁচ কাজ’ এর মেহনত করা হয়েছে। প্রতিদিন ফজর বাদ মাসওয়ারা, যোহর বাদ এবং এশা বাদ তা’লিম, সপ্তাহে ২টি গাস্ত কর্মসূচী (অর্থাৎ গাস্তের আদব, উমুমী গাস্ত, ইমান, ইহসান ও ইয়াকিনের কথা) একটি নিজের মসজিদে ও একটি অন্য মসজিদে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পরে মসজিদ আবাদের মেহনত করা হয়েছে। টঙ্গীর ময়দানে জোড়ে এবং বিশ্ব ইজতেমায় বহু সংখ্যক মুসল্লী এই মসজিদ থেকে অংশগ্রহণ করেছেন। আমাদের মসজিদ থেকে প্রতি শুক্রবারে ৩ দিনের একটি জামাত আল্লাহ্’র রাস্তায় বাহির হয়ে অন্য কোন এলাকায় মসজিদে অবস্থান করে দাওয়াতের মেহনত করে। আমাদের তাবলীগ জামাতে সাথীরা কাকরাইল মারকাজের মাসওয়ারা এবং হালকার মাসওরায়ও অংশগ্রহণ করেন।

অন্যান্য বছরের ন্যায় এবৎসরেও গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে বিদেশ থেকে অনেক জামাত এসেছিল। আমাদের মসজিদে বিদেশী জামাত ইসলামের দাওয়াত দেয়া এবং ইসলাম প্রচারার্থে এসে থাকেন।

সর্বোপরি তাবলীগ জামাতের দাওয়াতের নিয়মিত মেহনতে মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বেড়ে চলছে। আমাদের অনেক সম্মানিত সদস্য তালিমে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করে যাচ্ছেন। আমরা আশাকরি এ ব্যাপারে আমাদের সম্মানিত সদস্য এবং মুসল্লীগণ আরও উদ্যোগী হবেন এবং অধিক হারে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে দাওয়াতের কাজ প্রসারিত করার ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।